| |
               

মূল পাতা জাতীয় আত্মবিশ্বাস থাকলে ড. ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না : প্রধানমন্ত্রী


আত্মবিশ্বাস থাকলে ড. ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না : প্রধানমন্ত্রী


রহমত নিউজ ডেস্ক     29 August, 2023     09:33 PM    


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আত্মবিশ্বাস থাকলে ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক বিবৃতি ভিক্ষা করে বেড়াতেন না। সরকার কোনো বিবৃতিতে প্রভাবিত হবে না। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা আইন অনুযায়ী চলবে। যারা বিবৃতি দিয়েছেন তাদের আহ্বান জানাই, বিবৃতি না দিয়ে বিশেষজ্ঞ পাঠান, আইনজীবী পাঠান। দলিল-দস্তাবেজ, কাজগপত্র ঘেঁটে দেখুন অন্যায় আছে কি না।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেল ৪টায় গণভবনে ব্রিকস সম্মেলন যোগদান-পরবর্তী  সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

কেউ যদি ট্যাক্স (কর) না দেয় আর যদি শ্রমিকের অর্থ আত্মসাৎ করে, শ্রমিকদের পক্ষ থেকে যদি মামলা করা হয়। আমাদের কী সেই হাত আছে যে মামলা বন্ধ করে দেব? প্রশ্ন করে প্রধানমন্ত্রী। বলেন, পৃথিবীতে এমন বহু নোবেল বিজয়ী আছেন, পরবর্তী সময়ে তাদের কাজের জন্য কারাগারে আছেন (যেতে হয়েছে)। আদালত স্বাধীনভাবে চলবে। ভয় পেলে চলবে না। শ্রমিকদের পাওনা তাদের দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে সেটাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জনগণ ভালো পরিবেশে ভোট দিয়েছে, আগামীতে ভালোভাবে ভোট দিতে পারবে। জনগণ যাকে ভোট দেবে তারাই ক্ষমতায় আসবে, এটাই বিশ্বাস করি।  বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি করে কিছু টাকা যাবে গুলশানে, কিছু যাবে হাওয়া ভবনে, বাকিটা যাবে লন্ডনে। নিজেরা নিজেরা মারামারি করবে, দুর্নীতি করতে করতে এক সময় তারা বলবে আমরা পারবো না। সেই দলকে জনগণ ভোট দেবে। 

সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে সংকট তৈরি হবে— বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন উক্তি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করলে বিপদ আছে -কে বলেছে আমি জানি না। যখনই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ে তখন আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করলে বিপদ আছে কে বলছে আমি জানি না। যখনই দ্রব্যমূল্য বাড়ে তখন আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। সিন্ডিকেটে হাত দেওয়া যাবে না কে বলছে? আমি বাণিজ্যমন্ত্রীকে ধরব।  

গত ২৬ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খাতে ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় বিরোধী দলের সদস্যদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন- এ কথা ঠিক যে বড় বড় গ্রুপগুলোই একসঙ্গে অনেক বেশি ব্যবসা করে। কিন্তু, একটা জিনিস মনে রাখা দরকার, জেলে ভরলাম, জরিমানা করলাম, সেটা হয়তো করা সম্ভব। কিন্তু, তাতে যে সংকটটা হঠাৎ করে তৈরি হয়, আমাদের তো সেটা সইতে কষ্ট হয়। আমরা চেষ্টা করি আলোচনার মাধ্যমে, নিয়মের মধ্যে থেকে কিছু করতে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্যপণ্য নিয়ে কয়েকটা হাউজ ব্যবসা করে। তারা যখন কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ায় আমরা তখন আমদানি করি। বিকল্প ব্যবস্থা করি, যাতে তারা বাধ্য হয়ে দাম কমায়। সাথে সাথে আমরা ব্যবস্থা নেই। সিন্ডিকেট থাকলে সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না- এটা কোনো কথা না। কে কত বড় শক্তিশালী সিন্ডিকেট আমি জানি না। এটা আমি দেখব। ব্যবস্থা নেব।  আমি ছোটকালে দেখেছি, প্রথম শিম উঠলে কে কত টাকা দিয়ে কিনতে পারে প্রতিযোগিতা হতো। দুইদিন পরে তার দাম কমে যেত। বর্ষাকালের কাঁচা মরিচের দাম বাড়ে। এখন বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। শুকনো করে রেখে দেওয়া যায়। পেঁয়াজ শুকিয়ে রাখা যায়। প্রতিটা জিনিসের বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে। বর্ষাকালে শিম, গাজর, কাঁচা মরিচ পাওয়া যেত? এখন পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের কৃষিবিদরা গবেষণা করে এখন ১২ মাস উৎপাদন করতে পারে। আমাদের তরকারি এখন সুইজারল্যান্ডেও যাচ্ছে। আমাদের কিছু জিনিস বাইরে যাচ্ছে। আমরা যত উৎপাদন করতে পারব, আমাদের নির্ভরশীরতা যদি কমে, সিন্ডিকেট এমনিই ভেঙে যাবে। ওদের আর কিছু করা লাগবে না। সেজন্য বলছি এক টুকরো জমি যেন পতিত না থাকে।  দেশের বাজারে ডিমের দাম যখন কমবে, তখন ডিম সেদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দেবেন। তাহলে বহুদিন ভালো থাকবে। ভর্তাও খাওয়া যায়। আমরা রাখি বলে বলছি।